গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ঢাকার বাহিরেও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে চলছে এই কর্মসূচি।
ঢাকার ভিতর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। যেখানে ইসরায়েলের পণ্য বর্জনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করে একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলটির সামনে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়াও ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ করছেন অনেকেই। বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকে। বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এসময় তারা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’; ‘ইসলামের শত্রুরা/ইসরায়েলের বন্ধুরা হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘নেতানিয়াহু/ট্রাম্পের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ নিহতের ঘটনা এবং এর বিপরীতে জাতিসংঘ, ইউনিসেফ এবং আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছেন নিপীড়িত গাজাবাসী। গণহত্যা বন্ধের জন্য বিশ্বের সব দেশে একযোগে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ রেখে ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।